ছবিতে অভিনয় করেছেন সানি লিওনি, বীর দাস ও তুষার কাপুর। অ্যাডাল্ট
কমিডি ‘কেয়া কুল হ্যায় হাম ৩’ মুক্তি পাওয়ার পর হপ্তা ঘুরতে না-ঘুরতেই আরও
একটি একই ধরনের ছবি মুক্তি পেল। মিলাপ জাভেরি নির্দেশিত এই ছবিতে রয়েছে
অসংখ্য কথার হেঁয়ালি, বস্তাপচা জোক আর অবিন্যস্ত বক্ষশোভা। তবে যদি আপনি
সানি লিওনি ও বীর দাসের অন্ধ ভক্ত হন তবে কষ্ট করে ছবিটা দেখার জন্য কিছু
সময় বার করতেই পারেন।
ছবিতে দু’টি চরিত্রে অভিনয় করেছেন সানি। একটি বোল্ড অন্যটি এক অনন্যা সুন্দরীর। লায়লা লেলে নামে চরিত্রটিতে সানিকে তুলে ধরা হয়েছে যৌন আবেদনময়ীরূপে। যে সব সময় ছোট জামাকাপড় পরতেই পছন্দ করে। উলটো দিকে তার বোন লিলি ঠিক উলটো। সুন্দরী এই ললনার আবার তোতলামির ব্যমো রয়েছে। আদিত্য চোথিয়ার চরিত্রে বীর দাস ও সান্নি কেলের চরিত্রে তুষার কাপুর দু’জনেই চলচ্চিত্র পরিচালক। কিন্তু তাঁদের নারী-আশক্তিও কম নয়। যৌন তাড়নায় লাগাম পরাতে তাঁরা একটি সংস্থায় যোগাযোগ করেন। যেখানে মানুষকে এই ধরণের সমস্যা থেকে নিষ্কৃতি পেতে সাহায্য করেন লীলা ও লিলি। কিন্তু দু’জনের যৌন আবেদনে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে গড়ায়।
সিনেমার চিত্রনাট্যকে টানটান করে বাঁধতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েছেন পরিচালক মিলাপ জাভেরি। কিন্তু গোটা প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। ছবিতে গল্প বলে কোনও বস্তু আছে বলে মনেই হবে না। তবে ছবিতে প্রচুর কথার হেঁয়ালি ও বলিউডি গান, ছবি ও সেলিব্রেটিদের নিয়ে তামাশা রয়েছে। সপ্তাহের শেষে যা অনেককেই একটু হালকা করতে পারে।
সুরেশ মেননের সমকামী চরিত্রটি অনেকের ভাল লাগতে পারে। রাজেশ দেশমুখের চরিত্রটিকে প্রয়োজনের বেশি ব্যবহার করা হয়েছে বলে মনে হয়েছে। কিন্তু বীর দাসের কমিক টাইমিংকে কুর্নিশ করতেই হবে। সানি লিওনির জন্য মস্তিজাদে দেখতেই পারেন। তবে তার থেকে বেশি কিছু আশা না-করাই ভাল।
WATCH THIS MOVIE.........................................................